ভারতীয় চ্যানেল সম্প্রচারে বাধা নেই: সুপ্রিম কোর্ট

প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭ সময়ঃ ৪:৩৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:৩৬ অপরাহ্ণ

Screenshot_71ভারতের টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলার সম্প্রচার আটকাতে  আইনজীবী শাহীন আরা লাইলীর করা আবেদন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে সাড়া পায়নি। ইতিপূর্বে তাঁর রিট আবেদন হাই কোর্ট খারিজ করে দেওয়ায় তিনি তা স্থগিতের জন‌্য আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে যান।

চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বুধবার শুনানি করে হাই কোর্টের রায় স্থগিতের আবেদনে ‘নো অর্ডার’ দেয়। এর ফলে দেশে স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলা চলতে বাধা নেই বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

রিটকারীর আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভূইয়া বলেন, “আদালত রায় স্থগিতের ওপর কোনো আদেশ না দিয়ে নিয়মিত আপিল করতে বলেছেন। হাই কোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে আপিল করা হবে।”

২০১৪ সালের জুলাই মাসে ঈদের আগে স্টার জলসার ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালের পাখি চরিত্রের নামে বিক্রি হওয়া পোশাক কিনতে না পেরে বাংলাদেশে কয়েকজনের আত্মহত্যার খবর আসে সংবাদমাধ‌্যমে। সেসব প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই বছর আগস্টে হাই কোর্টে রিট করেন শাহীন আরা লাইলী। প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ১৯ অক্টোবর হাই কোর্ট রুলও জারি করে।

ভারতীয় এই তিন টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বাংলাদেশে বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে। তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ওই রুলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ২৯ জানুয়ারি রিট খারিজ করে রায় দেয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ডিজিটাইজেশনের এই যুগে বাস্তবতা নিয়ে চোখ বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তবে এমন কোনো অনুষ্ঠান দেখানো ঠিক নয়, যা এ দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে ব্যাহত করে। এক্ষেত্রে কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী একটি কমিটি করার বিধান রয়েছে এবং সেই কমিটিকে টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলো ‘মনিটরিং’য়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় রায়ে।

হাই কোর্ট রায়ে বলেছে, কোনো অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ফলে যদি ব্যক্তিগতভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত বা সংক্ষুব্ধ হন, তবে তাকে সরকারের কাছে অভিযোগ করতে হবে। আইন অনুযায়ী এ সংক্রান্ত অভিযোগ সরকারকে সাত দিনের মধ্যে নিস্পত্তি করতে হবে। কিন্তু রিটকারী সে ধরনের কোনো আবেদন করেননি। আদালত ওই রিটের কোনো যথার্থতা খুঁজে পায়নি।

প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G